হাতিয়ার কীর্তি সন্তান বনি আমিন এখন ইউটিউব স্টার
আমাদের ছেলে উপল আমিন
ভেরোনিকা এবং আমার ছেলে উপল, তার জন্ম অস্ট্রেলিয়াতে। বাংলাদেশ ঠিকমত সে দেখেনি (বেড়ানো ছাড়া) অথচ সর্বদা সে নিজেকে একজন গর্বিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ান ভাবতে বেশ গর্ব বোধ করে। তার জীবনে সর্বসাকুল্যে পাঁচবার সে বাংলাদেশে গিয়েছিলো এবং বাংলাদেশে তার সম্মিলিত অবস্থানের মেয়াদ ছিল তিন মাস তিন দিন। অস্ট্রেলিয়াতে জন্মগ্রহণ করা উপল আমিন বাঙলা একাধারে বলতে, বুঝতে, লিখতে এবং পড়তে পারে। বাঙলা ভাষার প্রতি তার এই আকর্ষণ তার দিদা (নানী স্বর্গবাসী শ্রীমতি নীলিমা হালদার) শিশুকাল থেকেই তাকে শিখিয়েছেন। তার প্রয়াত দিদা একজন শিক্ষিতা এবং বিদুষী নারী ছিলেন। পরবর্তীতে তার ঠাকুরমা (দাদি) আলহাজ সাফিয়া খাতুন তার সেই বাঙলা ভাষাতে নিরবিচ্ছিন্ন ‘শান’ দিয়েছিলেন। ১৯৯৫ সনের এপ্রিলে মাত্র সাড়ে তিন বছরের শিশু হিসেবে উপল যখন প্রথম বাংলাদেশে যায়, তখন চট্টগ্রামে দাদীর বাড়িতে অবস্থানকালে তার দাদি (ঠাকুর মা) তার জন্যে একমাসের একজন বাঙলা টিউটর রেখে তাকে বাঙলা অক্ষরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। অতঃপর সিডনীতে অহরহ আসা-যাওয়া তার দাদি (ঠাকুর মা) এবং সিডনিবাসী কাকা, ফুফু, ফুফাতো ভাই, মামা, মামাতো ভাইবোন, মাসী, মাসতুতো বোন এবং কাকাদের বিভিন্ন বন্ধুদের সাথে থেকে থেকে, পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রী-রেকর্ডেড সিডিতে বাংলা হাসির নাটক দেখে বাংলা ভাষার বিভিন্ন পেঁচগুলো সে দারুণভাবে শিখে নেয়। উপল কখনো সিডনীর কোনো ‘বাংলা ইস্কুল’এ যায় নি। আমি ধন্য এবং গর্বিত এখন তার হড়হড়িয়ে বলা বাঙলা কথা শুনে। ইন্টারনেটে বাঙলা পত্রিকায় তাকে মাঝে মাঝে চোখ বুলাতে দেখে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। আর ভাবি পারিবারিক অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা একজন শিশুর জন্যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। বাবা হিসেবে আমি মনে করি প্রবাসে ব্যাঙের ছাতার মত ‘উদ্দেশ্যমূলক’ভাবে গড়ে ওঠা তথাকথিত বাংলা ইস্কুলে আপনার সন্তানদের পাঠিয়ে অযথা বা ফালতু সময় বরবাদ করবেন না। ওই সকল ইস্কুলে মূলত সন্তানদের ‘বাঙলা’ শিক্ষার চেয়ে দলবাজি হয় বেশি। ঘরেই সন্তানকে বাংলা শেখাবেন। মনে রাখবেন সন্তানের জন্যে ‘ঘর’ হচ্ছে মূল ইস্কুল এবং মা বাবা হচ্ছে শিক্ষক।
পারিবারিক শিক্ষা একটি সভ্যজাতির মেরুদন্ড। উপল মনে করে ‘ভাষা একটি শক্তি’, যারফলে তার বাঙলা ব্যাকগ্রাউন্ডের মক্কেল বা ক্লায়েন্টরা তৃতীয় কারো সাহায্য বা দোভাষী ছাড়াই উপলের সাথে সাক্ষাৎ এবং কথা বলতে সাচ্ছন্দবোধ করে। উপল অস্ট্রেলিয়াতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম এবং এখনো একমাত্র ‘ক্রিমিনাল ডিফেন্স লইয়ার’, [যারা শিক্ষিত এবং শুদ্ধ বাঙলা বোঝেন তারা এই ‘প্রথম’ এবং ‘এখনো একমাত্র’ শব্দ কয়টি বিনা তর্কে বুঝবেন, তবে নিন্দুক হলে ভিন্ন কথা], উল্লেখ্য উপলের বড় মামা স্বর্গীয় ডাঃ এফ. অভিমান হালদার অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বাংলাদেশী প্রথম দুজন ডাক্তারের (চিকিৎসক) একজন ছিলেন। উপলের মা অর্থাৎ ভেরোনিকার ছোট কাকু (পঞ্চাশ দশকে মাঝামাঝি) লন্ডন হাসপাতালের প্রথম বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ডাক্তার (পরবর্তীতে সার্জন) ছিলেন। উপলের দাদু (নানা) শ্রী টি.ডি হালদার অবিভক্ত বাংলার আসামের শিলং এর (বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী) কাস্টম হাউসে একজন কাস্টম পরিদর্শক হিসেবে ১৯৪৮ পর্যন্ত চাকুরী করেছিলেন। দেশভাগের কিছু পরে স্বইচ্ছায় তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ফেরেন। অতঃপর চট্টগ্রাম সেন্ট প্লাসিড স্কুলের শিক্ষক এবং নিজস্ব একটি একাডেমীর শিক্ষকতা করেছিলেন। আমি আপনাদের সকলের কাছে উপলের জন্যে আশীর্বাদ ও দোয়া কামনা করছি।
ধন্যবাদ
আমার ১ ছেলে, ১ মেয়ে, ১স্ত্রী, ১টি ঘর, ১ আল্লাহ এবং ১ রসূল (দঃ), আমার সবই ‘১’, একমাত্র গাড়ী ছাড়া (তিনটি)। আমার জন্ম মেঘনার মোহনায় পলি বিধৌত হাতিয়া দ্বীপে (নিঝুম দ্বীপের কাছে একটি চর এলাকায়), আমরা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউকে ভয় পাইনা। দ্বীপের মানুষ বুকে সাহস নিয়েই বেড়ে উঠি, মা-বাবা থেকেই সাহসিকতার ছবক নেয়া। বাবার সরকারি চাকুরীর সুবাদে (আয়কর বিভাগ) মায়ের কোলে চড়ে ছয় মাস বয়সে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসা। কৈশোর থেকে ভরা যৌবনে প্রেম করেছি ঘুরে-ঘুরে, শেষটা দিনাজপুরে অতঃপর চূড়ান্তভাবে বিয়েটা করেছি বরিশালে। – সবই আল্লাহর ইচ্ছা।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে, কিছু খুচরো লেখাপড়া লন্ডন এবং সিডনীতে। বিয়ে করার দেড় বছরের মাথায় আমরা দুজন চলে আসি মাইগ্রেশন নিয়ে সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে। আমার এক ছেলে ‘উপল আমিন’ সে একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী, একমাত্র মেয়ে ‘ইসাবেলা আমিন’, বিবাহিত। স্বামী সংসার নিয়ে সিডনীতে কয়েকটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। ওদের দুজনের জন্ম অস্ট্রেলিয়াতে। আমি গর্বিত আমার ছেলে দুরস্ত এবং অনর্গল শুদ্ধ বাংলা বলতে, লিখতে এবং পড়তে পারে। ওর মা, অর্থাৎ বরিশালের ওই মেয়েটি-ই তার দুজন সন্তানকে এভাবে বাংলার প্রতি ভালোবাসা শিখিয়েছে। মানবজীবনে সুখের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। সে হিসেবে আমি নিজের দিকে তাকিয়ে বলবো ‘আমি অ-সুখী নয়। এবং তা সম্পূর্ণ আল্লাহর দয়া।” আজ এটুকু থাক। ধন্যবাদ –
বনি আমিন
আল্লাহুমা ইন্নি আসোয়ালুকাল হুদা ওয়াতুক্কা ওয়াল আ’ফাফা ওয়াল গিনা l
ইয়া আল্লাহ, ইয়া রাব্বুল আলামিন
ইয়া দ্বীন দুনিয়ার মালিক, ইয়া রাহমানুর রাহিম –
আমি বনি আমিন, আমি এক অমানুষ বান্দা তোমার পেয়ারে দোস্ত
রাসূল (সঃ)এর উম্মত দুহাত তুলে আজ তোমার দরবারে ফরিয়াদ করছি l Read More
প্রিয় বন্ধুরা, মনে রাখতে হবে যে আমাদের খারাপ কাজ বা কাফেরীও আচরণের কারণে যেন আমাদের প্রিয় নবীর বদনাম না হয়। পৃথিবীতে এখন ভালো মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম, যার জন্যে আজ মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত। সে জন্যে অমুসলিমরা (ইহুদী, খ্রিষ্টান বা হিন্দু ইত্যাদি ধর্মের লোকদের) কোনোভাবেই দায়ী করা যায়না, বরং মুসলমানেরা নিজেরাই দায়ী। যারফলে প্যালেস্টাইনে যুগ-যুগ ব্যাপী গণহত্যা, সিরিয়ার মুসলিম নিধন এবং রোহিংগাদের নির্বিচারে হত্যা আমাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করেনা বা দুঃখিত করেনা। Read More
সময়ের টানাটানিতে আমি নিজে আর ভিডিও এডিট করতে চাই না। তাই একজন ভালো আউট সোর্সিং ভিডিও এডিটর চাই। প্রার্থীর নিম্নোক্ত যোগ্যতা অবশ্যি লাগবে। উক্ত শর্তের ১টিও কম থাকলে ফালতু সময় খরচ করে আবেদন করবেন না। Read More
Recent Comment
বনি আমিনের ক্ষুদ্র পরিচিতি
“অমানুষ” বনি আমিন এর মোনাজাত (চলুনঃ ৮০% বাংলাদেশি মুসলিমদের মুখোশ খুলে দেই)
“অমানুষ” বনি আমিন এর মোনাজাত (চলুনঃ ৮০% বাংলাদেশি মুসলিমদের মুখোশ খুলে দেই)
বনি আমিনের ক্ষুদ্র পরিচিতি
One of the Bangladeshi World traveler and YouTube star is Boni Amin