“সাতশো ইঁদুর মেরে বেড়াল এবার চললো হজে” (বাড়াবাড়ি করলে সোজা BLOCK)

“সাতশো ইঁদুর মেরে বেড়াল এবার চললো হজে” (বাড়াবাড়ি করলে সোজা BLOCK)

প্রিয় বন্ধুরা, মনে রাখতে হবে যে আমাদের খারাপ কাজ বা কাফেরীও আচরণের কারণে যেন আমাদের প্রিয় নবীর বদনাম না হয়। পৃথিবীতে এখন ভালো মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম, যার জন্যে আজ মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত। সে জন্যে অমুসলিমরা (ইহুদী, খ্রিষ্টান বা হিন্দু ইত্যাদি ধর্মের লোকদের) কোনোভাবেই দায়ী করা যায়না, বরং মুসলমানেরা নিজেরাই দায়ী। যারফলে প্যালেস্টাইনে যুগ-যুগ ব্যাপী গণহত্যা, সিরিয়ার মুসলিম নিধন এবং রোহিংগাদের নির্বিচারে হত্যা আমাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করেনা বা দুঃখিত করেনা। ওই সকল নির্মম হত্যা ও অত্যাচারে বরং আমি নীরবে মুচকি হাসি এবং আল্লাহকে স্মরণ করে শোকরানা জানাই, আর দুহাত তুলে বলি ‘হে আল্লাহ সবই তোমার লীলা, তুমি যা ভালো মনে কর তা চালিয়ে যাও, কারণ ওই অমুসলিমরাও তোমার সৃষ্টি, তারাও তোমার বান্দা।” সত্যিকারার্থে উম্মতে মোহাম্মদ (সঃ) হলে আমাদের এই অবস্থা কখনো হতো না। মোহাম্মদ (সঃ) জাত-ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে, অথচ এখনকার বেশিরভাগ মুসলমানেরা অমুসলিমদের ঘৃণা ও ধর্ষণ করতে শিখাচ্ছে। যারফলে আমরাই মুসলমান হিসেবে বিশ্বে মুসলমানদের নির্মম এই হত্যা, ধর্ষণ ও শিশু নিধনের জন্যে দায়ী। অন্যকে অর্থাৎ অমুসলিমদের দোষারোপ করার আগে, আমাকে নিজের দিকে তাকাতে হবে আগে, নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস করতে হবে, (১) আমরা কি মুসলমান হিসেবে সঠিক পথে আছি? (২) নবী করিম (সঃ) এর আদর্শগুলো কি আমরা পালন করছি? (৩) মুসলমানের আদলে বা সূরাতে লুকিয়ে থাকা ‘ইসলামিক-কাফের’ গুলোকে কি আমরা চিনতে বা চিহিন্নিত করতে পারছি? (৪) যে হুজুরেরা কোরান তফসীরের নামে অহরহ বাংলাদেশের মাটিতে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়াচ্ছে, সেই হুজুরেরা কি শুধুমাত্র সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে পার্শবর্তী দেশ ভারত বা বার্মার মাটিতে একই টোন একইভাবে একই সুরে ধর্মীয় জজবা করতে পারবে? (যেমন কুমিল্লার কসবা পার হয়ে আগরতলায় অথবা সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে কাছাড় জেলার করিমগঞ্জে অথবা সাতক্ষীরার দেবহাটার ইছামতি নদীর ওপারে বসিরহাটে গিয়ে কি একইভাবে ওয়াজ বা তফসীরের নামে একইরকম ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?) না পারলে, তাহলে কি এই বদমায়েশ হুজুরগুলোকে কি ‘মোরগের দেশের শিয়াল রাজা’ বলা যাবে না? সত্যি বলতে কি, ওই ‘ইসলামিক-কাফেরদের’ কারণে আমাদের মত উম্মাতে মোহাম্মদ (সঃ) এর আজ বড়োই দুর্দিন।
দুর্ভাগ্য আমরা আমাদের নষ্ট ও সন্ত্রাসী আচরণের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নবী করিম (সঃ)কে আজ সারা বিশ্বের কাছে ‘ঐতিহাসিক-সন্ত্রাসী’ এবং ‘শিশু-ধর্ষক’ (নাউযুবিল্লাহ) হিসেবে অপ-পরিচিত করে ফেলছি। আমাদের ব্যাভিচারী ও সন্ত্রাসী আচরণ ও মধ্যযুগী কুসংস্কারকে পূঁজি করে আজ তথাকথিত আধুনিক বিশ্ব এবং নাস্তিকরা আমাদেরকে ঘৃণা করছে। মুসলমান বলে পরিচয় পেলে এখন কেউ পাশে বসতে চায় না, বিদেশে (অমুসলিম দেশে) সহজে বাসা ভাড়া পাওয়া যায় না। সর্বোপরী ‘বাংলাদেশের মুসলিম’ শুনলে বেশিরভাগ বিদেশী শিক্ষিত মানুষ এখন নাক সিটকায় এবং কথা বলতে চায় না। আমাদের এই ভোগান্তির জন্যে আজ কারা দায়ী? আমরা সাধারণ ও শান্তি প্রিয় মুসলিম হয়েও আজ কাদের পাপের কারণে, কাদের আচরণে, কাদের জঙ্গি-ভঙ্গির মূল্য পরিশোধ করছি? আমরা সাধারণ মুসলিমরা অর্থাৎ যারা সত্যিকারের উম্মতে মোহাম্মদ (সঃ) তারা কেন আজ বহির্বিশ্বে অবহেলিত হবো, নিগৃহীত হবো? সাধারণ মুসলমান হয়ে কি আমাদের মান সন্মান নিয়ে বাঁচার অধিকার নেই? সন্ত্রাসী ও গালিদেয়া (গালিবাজ) এবং ‘বেজন্মা’ মুসলমানদের জন্যে আমাদেরকে কি এইভাবে মাথানত হয়ে থাকতে হবে? বেজন্মা ও আধুনিক-জঙ্গি মুসলমানদের জন্যে আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) আর কতকাল গালি এবং ব্যাভিচারীর (নাউযুবিল্লাহ) অপবাদ শুনবে? শান্তিপ্রিয় বিশ্ব-মুসলিম উম্মাহরা আজ একসারিতে আসুন এবং রুখে দাঁড়ান সেই সন্ত্রাসী ও (৭০%) মুসলিম নামের জঙ্গি, বর্বর ও ‘জিন্দা কাফের’দেব বিরুদ্ধে। -আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *